ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়ার আগ পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা নদী ও শিমুল বাগানসহ ইত্যাদি এলাকাগুলোতে পর্যটক প্রবেশ করতে পারবে না।

সুনামগঞ্জের তাহেপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তারপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন স্বাক্ষরিত এই ঘোষণাটি প্রশাসনের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রকাশিত করা হয়েছে।

আমরা জানি বিগত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ের ঢল এবং অতিবৃষ্টির কারণে হুহু করে বাড়ছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার পানি। এতে করে সুনামগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত ২০ লক্ষ মানুষ বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। সেই সাথে সুনামগঞ্জ জেলার নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আস্তে আস্তে অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

উক্ত বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ৪৮ ঘন্টায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

বন্যার কারণে বিভিন্ন রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার কারণে যোগাযোগের বিঘ্নতা ঘটছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার মধ্য। ২০২২ সালের জুন মাসে ঘটে যাওয়া সেই ভয়াবহ বন্যার কথা মনে করে অনেকেই এবারের বন্যায় বেশ উদ্বিগ্ন। তাই বিভিন্ন মানুষ গবাদি, পশু হাঁস-মুরগি এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গেয়ে উঠেছেন। কারো কারো বাড়িতে কোমর পানি থেকে গলা পানি পর্যন্ত উঠে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা গুলোতে ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। যেহেতু সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ এলাকায় বন্যায় প্লাবিত এবং পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে মানুষ।

এমন পরিস্থিতির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষ প্রবেশ করলে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টাঙ্গুয়ার হাওর সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় ১২৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বিশাল এই হাওরটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাভূমি। সুনামগঞ্জের স্থানীয় লোকদের কাছে এই হাওরটি ছয়করা বিল নামেও পরিচিত। অত্যন্ত মনোরম এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণ করতে যায় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

কিন্তু চলতি সময়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পর্যটন প্রবেশ আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়ার আগ পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা নদী ও শিমুল বাগানসহ ইত্যাদি এলাকাগুলোতে পর্যটক প্রবেশ করতে পারবে না।

সুনামগঞ্জের তাহেপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তারপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন স্বাক্ষরিত এই ঘোষণাটি প্রশাসনের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রকাশিত করা হয়েছে।

আমরা জানি বিগত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ের ঢল এবং অতিবৃষ্টির কারণে হুহু করে বাড়ছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার পানি। এতে করে সুনামগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত ২০ লক্ষ মানুষ বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। সেই সাথে সুনামগঞ্জ জেলার নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আস্তে আস্তে অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

উক্ত বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ৪৮ ঘন্টায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

বন্যার কারণে বিভিন্ন রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার কারণে যোগাযোগের বিঘ্নতা ঘটছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার মধ্য। ২০২২ সালের জুন মাসে ঘটে যাওয়া সেই ভয়াবহ বন্যার কথা মনে করে অনেকেই এবারের বন্যায় বেশ উদ্বিগ্ন। তাই বিভিন্ন মানুষ গবাদি, পশু হাঁস-মুরগি এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গেয়ে উঠেছেন। কারো কারো বাড়িতে কোমর পানি থেকে গলা পানি পর্যন্ত উঠে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা গুলোতে ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। যেহেতু সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ এলাকায় বন্যায় প্লাবিত এবং পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে মানুষ।

এমন পরিস্থিতির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষ প্রবেশ করলে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টাঙ্গুয়ার হাওর সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় ১২৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বিশাল এই হাওরটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাভূমি। সুনামগঞ্জের স্থানীয় লোকদের কাছে এই হাওরটি ছয়করা বিল নামেও পরিচিত। অত্যন্ত মনোরম এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণ করতে যায় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

কিন্তু চলতি সময়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পর্যটন প্রবেশ আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।