ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্য সিলেটের বিভিন্ন নদ নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে শহরের ১২ উপজেলায় মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে।

সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন সাংবাদিকদের কে জানান, গতকাল সকাল ৯ টা পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন নদীর ৬ টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকালও ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ধরে।

এর আগে ৮ জুন পর্যন্ত সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি অনেক অবনতি হয়েছে।

বাড়িঘর হারিয়ে প্রায় ২৯৬ জন মানুষ গবাদি পশুর সহ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয় কেন্দ্রের রান্না করা খাবার এবং ত্রাণ বিতরণ চলছে।

এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুর সমান পানি জমেছে। সেই সাথে এলাকা গুলোতে নেই কোন বিদ্যুৎ নেই মোবাইলে নেটওয়ার্ক। সিলেটের বন্যার এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি স্থানীয়রা এর আগে কখনো দেখেনি।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি

সিলেট জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সিলেট জেলাটিতে প্রায় ৫৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষজন বন্যায় ভেসে যাওয়া বাড়িঘড় রেখে গবাদিপমু আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছে।

সেই সাথে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কোরবানির পশুর মাংস স্যালাইন ওষুধ ও শুকনো খাবার সংগ্রহ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৭শে মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ফের সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।

সিলেট জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্য ১০ টিতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় আছে। যাদের বাড়ি ঘর ইতিমধ্যে পানিতে প্লাবিত হয়েছে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছে। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণে অনেক বাড়িঘর এখন পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

এদিকে কোরবানির ঈদের সময় বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় বেশ চিন্তায় আছেন সিলেটবাসী। অনেকে পানির মধ্যে ভোগান্তি নিয়ে কোরবানি করেছেন। আবার অনেকে অপেক্ষা করছেন কখন পানি কমবে। তবে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ধরনের মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে সিলেট জেলা প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি

আপডেট সময় : ০২:২১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্য সিলেটের বিভিন্ন নদ নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে শহরের ১২ উপজেলায় মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে।

সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন সাংবাদিকদের কে জানান, গতকাল সকাল ৯ টা পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন নদীর ৬ টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকালও ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ধরে।

এর আগে ৮ জুন পর্যন্ত সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি অনেক অবনতি হয়েছে।

বাড়িঘর হারিয়ে প্রায় ২৯৬ জন মানুষ গবাদি পশুর সহ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয় কেন্দ্রের রান্না করা খাবার এবং ত্রাণ বিতরণ চলছে।

এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুর সমান পানি জমেছে। সেই সাথে এলাকা গুলোতে নেই কোন বিদ্যুৎ নেই মোবাইলে নেটওয়ার্ক। সিলেটের বন্যার এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি স্থানীয়রা এর আগে কখনো দেখেনি।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি

সিলেট জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সিলেট জেলাটিতে প্রায় ৫৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষজন বন্যায় ভেসে যাওয়া বাড়িঘড় রেখে গবাদিপমু আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছে।

সেই সাথে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কোরবানির পশুর মাংস স্যালাইন ওষুধ ও শুকনো খাবার সংগ্রহ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৭শে মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ফের সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।

সিলেট জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্য ১০ টিতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় আছে। যাদের বাড়ি ঘর ইতিমধ্যে পানিতে প্লাবিত হয়েছে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছে। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণে অনেক বাড়িঘর এখন পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

এদিকে কোরবানির ঈদের সময় বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় বেশ চিন্তায় আছেন সিলেটবাসী। অনেকে পানির মধ্যে ভোগান্তি নিয়ে কোরবানি করেছেন। আবার অনেকে অপেক্ষা করছেন কখন পানি কমবে। তবে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ধরনের মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে সিলেট জেলা প্রশাসন।