ডাবল শিফটের স্কুলগুলোতে শনিবারেও ক্লাস চলবে
- আপডেট সময় : ০৪:০০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
শনিবারে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকবে কিনা তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত নানারকম আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন শনিবারে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর সরকারের পক্ষ থেকে আবার ঘোষণা আসে শনিবারে স্কুল খোলা রাখতে হবে। নানা আলোচনা সমালোচনা এবং মানববন্ধনের পর শনিবারে স্কুলগুলো আবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবারের স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে নতুন একটি সিদ্ধান্ত এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই ঘোষণা অনুযায়ী ঈদুল আযহার পর শনিবারেও ডাবল শিফটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস চলবে। অর্থাৎ যে সকল স্কুলে এক শিফট চলে সেগুলো শনিবারে বন্ধ থাকবে। আর যে সকল স্কুলগুলোতে সকাল এবং বিকেলে দুই শিফট চলে সেই সকল স্কুলগুলো শনিবারে খোলা থাকবে।
বিগত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের সূত্র অনুযায়ী, শিক্ষা কার্যক্রমের নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিচালক সাংবাদিকদের কে বলেন, একটি স্কুলে প্রতিটি শিফট সম্পন্ন করার জন্য ৬ ঘন্টা সময় প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ডাবল শিফট রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কোন ধরনের ব্রাঞ্চ খুলতে পারবেন না। প্রত্যেকটি ব্রাঞ্চের জন্য আলাদা আলাদা শনাক্তকারীর নম্বর নিতে হবে। অর্থাৎ একটি সনাক্তকারী নম্বরে অধীনে একাধিক ব্রাঞ্চ পরিচালনা করা যাবে না।
ডাবল শিফটের স্কুলগুলোতে শনিবারেও ক্লাস চলবে
সেই সাথে আরোও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর ডাবল শিফট রাখা হবে না। সব স্কুলেই ১ টি শিফটে ক্লাস চালানোর জন্য বলা হয়েছে। একটি শিফটে যতজন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যায় তার বেশি ভর্তি করা যাবে না। এই নীতিমালাটি কার্যকর হবে আগামী ২০২৫ সাল থেকে।
তবে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডাবল শিফট রয়েছে সেগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করা হবে। ডাবল শিফট বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এসকল প্রতিষ্ঠানে শনিবারেও ক্লাস কার্যক্রম চলবে।
তবে কোন স্কুল যদি এখনই দুই শিফটে চালানোর উপযোগী হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির সাপেক্ষে তারা ১ শিফটে শ্রেণীর কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
সরকারের উক্ত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা একমত হয়েছেন। তারাও বলেছেন সম্ভব হলে ডাবল শিফট বাতিল করে ১ শিফটে যাওয়াটাই ভালো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রেখে লেখাপড়ার সময় ও মান কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। আর যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ শিফট কিংবা আলাদা ব্রাঞ্চে শ্রেনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় তাহলে তাদের আলাদা আলাদা ইআইআইএন নম্বর নিতে হবে। সেই সাথে শনিবারেও স্কুল খোলা রাখতে হবে।