ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিলহজ্ব মাসের রোজা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

জিলহজ্ব মাসের রোজা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র জিলহজ্ব মাস। জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। পবিত্র এই মাসে রোজা সহ বিশেষ কিছু আমল রয়েছে। জিলহজ্ব মাসের রোজার সম্পর্কে বলতে গেলে, এ মাসের প্রথম নয় দিন রোজা রাখা সুন্নত।

জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে হাফসা (রা.) বলেছেন, প্রিয় নবী রাসুল (সা.) কে চারটি আমল কখনোই ছাড়তেন দেখিনি। সেগুলো হচ্ছে,

• আশুরা উপলক্ষে রোজা
• জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের রোজা
• প্রতি মাসে ৩ দিন রোজা
• ফজরের নামাজের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ

উপরিক্ত হাদিস থেকে আমরা জিলহজ্ব মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারি।

জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে আরো একটি হাদিস রয়েছে। একদা এক যুবকের অভ্যাস ছিল প্রতি বছর জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখার। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে যুবক তুমি কেন জিলহজ্ব মাসে রোজা রাখো।

এর উত্তরে সে যুবক রাসূল (সা.) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, জিলহজ্ব মাসের এই প্রথম দিনগুলো হজের মৌসুম এবং বরকতময় সময়। হজ্ব আদায়কারীদের সাথে সাথে আমিও নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত হতে চাই। আমার দোয়া মহান আল্লাহতালা কবুল করে নেবেন।

জিলহজ্ব মাসের রোজা

এরপর রাসুল (সা.) যুবক ডেকে বললেন, জিলহজ্ব মাসে রোজা রাখার জন্য, প্রতি একটি করে রোজার জন্য ১০০ টি দাস মুক্তি দেওয়ার, ১০০ টি উট দান করার এবং জিহাদের জন্য তৈরি করা একটি ঘোড়া জিহাদর দান করার সওয়াব মহান আল্লাহ তাআলা তোমাকে প্রদান করবেন। (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালী)

এই হাদিস তোরা আমরা জিলহজ্ব মাসে রোজা রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারি। জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখার সওয়াব অনেক।

সেই সাথে জিলহজ্ব মাসের নবম দিনে রোজা রাখলে উক্ত দিন হতে পূর্বের বছরের সকল গুনাহ সমূহ আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দেবেন।

এ ব্যাপারে রাসুল পাক (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আরাফার দিন অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের নবম দিন রোজা পালন করে, আমি আশাবাদী আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের এক বছরের সকল গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন।

তাই আমরা পবিত্র এ মাসের ফজিলত গুলো অবহেলা না করে প্রথম ৯ দিন বিশেষ করে আরাফার দিন রোজা রাখার চেষ্টা করব। জিলহজ্ব মাসের রোজার সম্পর্কে আপনারা তো এখন ভালোভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন। আশা করি আপনারা এই ফজিলত পূর্ণ মাসে মহান আল্লাহ তাআলার আরও বেশি সন্নিকটে যেতে পারবেন।

বাসা বাড়িতে রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম কমেছে। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জিলহজ্ব মাসের রোজা

আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র জিলহজ্ব মাস। জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। পবিত্র এই মাসে রোজা সহ বিশেষ কিছু আমল রয়েছে। জিলহজ্ব মাসের রোজার সম্পর্কে বলতে গেলে, এ মাসের প্রথম নয় দিন রোজা রাখা সুন্নত।

জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে হাফসা (রা.) বলেছেন, প্রিয় নবী রাসুল (সা.) কে চারটি আমল কখনোই ছাড়তেন দেখিনি। সেগুলো হচ্ছে,

• আশুরা উপলক্ষে রোজা
• জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের রোজা
• প্রতি মাসে ৩ দিন রোজা
• ফজরের নামাজের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ

উপরিক্ত হাদিস থেকে আমরা জিলহজ্ব মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারি।

জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে আরো একটি হাদিস রয়েছে। একদা এক যুবকের অভ্যাস ছিল প্রতি বছর জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখার। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে যুবক তুমি কেন জিলহজ্ব মাসে রোজা রাখো।

এর উত্তরে সে যুবক রাসূল (সা.) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, জিলহজ্ব মাসের এই প্রথম দিনগুলো হজের মৌসুম এবং বরকতময় সময়। হজ্ব আদায়কারীদের সাথে সাথে আমিও নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত হতে চাই। আমার দোয়া মহান আল্লাহতালা কবুল করে নেবেন।

জিলহজ্ব মাসের রোজা

এরপর রাসুল (সা.) যুবক ডেকে বললেন, জিলহজ্ব মাসে রোজা রাখার জন্য, প্রতি একটি করে রোজার জন্য ১০০ টি দাস মুক্তি দেওয়ার, ১০০ টি উট দান করার এবং জিহাদের জন্য তৈরি করা একটি ঘোড়া জিহাদর দান করার সওয়াব মহান আল্লাহ তাআলা তোমাকে প্রদান করবেন। (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালী)

এই হাদিস তোরা আমরা জিলহজ্ব মাসে রোজা রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারি। জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখার সওয়াব অনেক।

সেই সাথে জিলহজ্ব মাসের নবম দিনে রোজা রাখলে উক্ত দিন হতে পূর্বের বছরের সকল গুনাহ সমূহ আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দেবেন।

এ ব্যাপারে রাসুল পাক (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আরাফার দিন অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের নবম দিন রোজা পালন করে, আমি আশাবাদী আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের এক বছরের সকল গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন।

তাই আমরা পবিত্র এ মাসের ফজিলত গুলো অবহেলা না করে প্রথম ৯ দিন বিশেষ করে আরাফার দিন রোজা রাখার চেষ্টা করব। জিলহজ্ব মাসের রোজার সম্পর্কে আপনারা তো এখন ভালোভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন। আশা করি আপনারা এই ফজিলত পূর্ণ মাসে মহান আল্লাহ তাআলার আরও বেশি সন্নিকটে যেতে পারবেন।

বাসা বাড়িতে রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম কমেছে। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।