ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রিন্স মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

প্রিন্স মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লায়লা আক্তার ওরফে ব্লু ফেইরি লায়লার করা ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১১ ই জুন মঙ্গলবার মহামান্য আদালতের কাছে প্রিন্স মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। রাজধানীর ঢাকায় অবস্থিত ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ এই আবেদনটি করে। লায়লা আক্তার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি করেছিলেন।

তবে ইতিমধ্যে প্রিন্স মামুনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন মাননীয় আদালত। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কে বলেন, টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। মামুন বর্তমানে কুমিল্লায় অবস্থান করছেন জেনে আমাদের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রিকুইজিশন প্রেরণ করে।

গত ৯ জুন লায়লা আক্তার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। লায়লা আখতান আরো উল্লেখ করেন, বিগত ৩ বছর আগে প্রিন্স মামুনের সাথে আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়।

ফেসবুকে তার সাথে কথা হলেও আমি কখনো তার সাথে দেখা করতে চাইনি। প্রিন্স মামুন আমার দেখা করার জন্য অনুরোধ করে। তারপর আমি একসময় তার সাথে দেখা করতে রাজি হই। দেখা হওয়ার পর প্রিন্স মামুন আমাকে বলে তার ঢাকায় কোন থাকার জায়গা নেই। আমি আমার বাসায় তাকে সরল মনে থাকার জন্য জায়গা দেই। তারপর থেকে প্রিন্স মামুন আমাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন।

যেহেতু প্রিন্স মামুন আমাকে বিয়ের আশ্বাস দেয় আমিও সরল মনে তাকে আমার বাসায় জায়গা দেই। তারপর থেকে সে আমার সাথে আমার বাসায় প্রয়োজনে থাকতে শুরু করে। সেই সাথে বিভিন্ন সময় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে একাধিকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

আমার বাসায় থাকার সময় মাঝে মাঝে তার পরিবার ও এখানে এসে থাকতো। কিন্তু আমি যখন প্রিন্স মামুনকে বিয়ের কথা বলি তখন সে নানা অজুহাতে সময় নিতে থাকে। সর্বশেষ গত মাসের ১৪ মার্চ সে আমার বাসায় এসে আমার রুমে বিয়ের প্রলোভেন দেখিয়ে আবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তারপর আমি তাকে বিয়ের কথা বললে সে আমাকে অনেক গালিগালাজ করে এবং মারধর করে।

প্রিন্স মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

এত সব কিছু সহ্য করার পর আমি প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করি। প্রেক্ষিতে প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। তারপর পুলিশ প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। আদালত প্রিন্স মামুনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন। সেই সাথে রিমান্ডও দেননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রিন্স মামুন এবং লায়লাকে আমরা সবাই চিনি। বিভিন্ন সময় তাদেরকে একসাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় গুলোতে প্রিন্স মামুন এবং লায়লাকে নিয়ে বেশ কিছু খবর ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে লায়লাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রিন্স মামুন এখন বিয়ে করছে না।

লায়লা আক্তারের ভাষ্যমতে তিনি প্রিন্স মামুন ও তার পরিবারকে বেশ টাকা-পয়সাও দিয়েছেন। আরো বেশ কিছু টাকা পয়সা দাবি করেছে তারা। যেহেতু তারা বিবাহ বহির্ভূত একটা সম্পর্কে ছিল তাই লায়লা আক্তার যখন প্রিন্স মামুনকে বিয়ের কথা বলে তখন থেকে প্রিন্স মামুন বাজে আচরণ শুরু করতে থাকে। লায়লার বিরুদ্ধে কথা বলতে থেকে। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পর অবশেষে লায়লা আক্তার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেন।

প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লার অভিযোগ করেন, বিয়ের দাবি করায় প্রিন্স মামুন আমাকে অনেকবার অসহ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে সেই সাথে আমার গায়ে হাত তুলেছে।

অবশেষে প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করার পরে কারাগারে প্রেরণ করেছে মাননীয় আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের এসআই উত্তম কুমার সাংবাদিকদের কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পক্স হলে করণীয়

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রিন্স মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

লায়লা আক্তার ওরফে ব্লু ফেইরি লায়লার করা ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১১ ই জুন মঙ্গলবার মহামান্য আদালতের কাছে প্রিন্স মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। রাজধানীর ঢাকায় অবস্থিত ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ এই আবেদনটি করে। লায়লা আক্তার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি করেছিলেন।

তবে ইতিমধ্যে প্রিন্স মামুনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন মাননীয় আদালত। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কে বলেন, টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। মামুন বর্তমানে কুমিল্লায় অবস্থান করছেন জেনে আমাদের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রিকুইজিশন প্রেরণ করে।

গত ৯ জুন লায়লা আক্তার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। লায়লা আখতান আরো উল্লেখ করেন, বিগত ৩ বছর আগে প্রিন্স মামুনের সাথে আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়।

ফেসবুকে তার সাথে কথা হলেও আমি কখনো তার সাথে দেখা করতে চাইনি। প্রিন্স মামুন আমার দেখা করার জন্য অনুরোধ করে। তারপর আমি একসময় তার সাথে দেখা করতে রাজি হই। দেখা হওয়ার পর প্রিন্স মামুন আমাকে বলে তার ঢাকায় কোন থাকার জায়গা নেই। আমি আমার বাসায় তাকে সরল মনে থাকার জন্য জায়গা দেই। তারপর থেকে প্রিন্স মামুন আমাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন।

যেহেতু প্রিন্স মামুন আমাকে বিয়ের আশ্বাস দেয় আমিও সরল মনে তাকে আমার বাসায় জায়গা দেই। তারপর থেকে সে আমার সাথে আমার বাসায় প্রয়োজনে থাকতে শুরু করে। সেই সাথে বিভিন্ন সময় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে একাধিকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

আমার বাসায় থাকার সময় মাঝে মাঝে তার পরিবার ও এখানে এসে থাকতো। কিন্তু আমি যখন প্রিন্স মামুনকে বিয়ের কথা বলি তখন সে নানা অজুহাতে সময় নিতে থাকে। সর্বশেষ গত মাসের ১৪ মার্চ সে আমার বাসায় এসে আমার রুমে বিয়ের প্রলোভেন দেখিয়ে আবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তারপর আমি তাকে বিয়ের কথা বললে সে আমাকে অনেক গালিগালাজ করে এবং মারধর করে।

প্রিন্স মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

এত সব কিছু সহ্য করার পর আমি প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করি। প্রেক্ষিতে প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। তারপর পুলিশ প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। আদালত প্রিন্স মামুনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন। সেই সাথে রিমান্ডও দেননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রিন্স মামুন এবং লায়লাকে আমরা সবাই চিনি। বিভিন্ন সময় তাদেরকে একসাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় গুলোতে প্রিন্স মামুন এবং লায়লাকে নিয়ে বেশ কিছু খবর ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে লায়লাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রিন্স মামুন এখন বিয়ে করছে না।

লায়লা আক্তারের ভাষ্যমতে তিনি প্রিন্স মামুন ও তার পরিবারকে বেশ টাকা-পয়সাও দিয়েছেন। আরো বেশ কিছু টাকা পয়সা দাবি করেছে তারা। যেহেতু তারা বিবাহ বহির্ভূত একটা সম্পর্কে ছিল তাই লায়লা আক্তার যখন প্রিন্স মামুনকে বিয়ের কথা বলে তখন থেকে প্রিন্স মামুন বাজে আচরণ শুরু করতে থাকে। লায়লার বিরুদ্ধে কথা বলতে থেকে। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পর অবশেষে লায়লা আক্তার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেন।

প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লার অভিযোগ করেন, বিয়ের দাবি করায় প্রিন্স মামুন আমাকে অনেকবার অসহ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে সেই সাথে আমার গায়ে হাত তুলেছে।

অবশেষে প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করার পরে কারাগারে প্রেরণ করেছে মাননীয় আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের এসআই উত্তম কুমার সাংবাদিকদের কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পক্স হলে করণীয়