প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। উক্ত ২ বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার। এই বিশাল এই নিয়োগ পরীক্ষাটি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে মাননীয় আদালত। সেই সাথে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাননীয় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন আজ মঙ্গলবার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ এই আদেশ দেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেই সাথে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
হঠাৎ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতেে ব্যাপারে ব্যারিস্টার সৈয়দ সাযেদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি শিক্ষক নিয়োগের এই পরীক্ষাটির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। আর ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র দিয়েই অনেকেই পরীক্ষা দিয়েছেন। সেই সাথে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। তাই উক্ত ফলাফল নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন ওঠে। সেজন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকজন পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
কিছুদিন আগেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। উক্ত ফলাফলে প্রায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যারা পরবর্তী ধাপ মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতো। আজ ২৮ মে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ৬ মাসের মধ্যে সংঘটিত হতে পারবে না।
ইতিমধ্যে এই শিক্ষক নিয়োগের ১ম ধাপে রংপুর, সিলেট, বরিশাল এবং ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৮ হাজারের বেশি শূন্য পদ রয়েছে। সেই শুন্য পদগুলো পূরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষাগুলো নিচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করায় বর্তমানে সেই পরীক্ষা বা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয়েছে। আদালতে আদেশ অনুযায়ী এখন প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।