ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে গত রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বারিধারায় অবস্থিত বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে। গত ৮ জুন শনিবার রাত ১২ টার দিকে হঠাৎ করে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

তবে পুলিশের গুলিতে পুলিশ কিভাবে নিহত হলো সেই বর্ণনা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের আরেক সিকিউরিটি। তারা জানান এই দুর্ঘটনার সময় তারা দূতাবাসের ভেতরে ছিলেন। তারপর ঘটনার সময় হঠাৎ করেই ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তারা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসে। বাইরে বের হয়ে আসার পর দেখেন কাউসার ফিলিস্তিনি দূতাবাসের মেইন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই একটু পরেই পড়ে আছে মনিরুলের মৃতদেহ।

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটার পর তারা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞেস করেন এখানে কি হয়েছে? এর প্রতি উত্তরে কাউসার জবাব দেন “শালা এমনিতে নাটক করতেছে”। এই কথা বলার পর কনস্টেবল কাউসার দূতাবাসের ঠিক বিপরীত পাশে রোডে চলে যান। তারপর সেখানে সবাই বুঝতে পারেন মনিরুল কে কাউসার গুলি করেছেন। নিরাপত্তা কর্মীরা কাউসারকে আটক করেন।

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে ডিউটিরত ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে তার ডিউটি ছিল ফিলিস্তিন দূতাবাসের লাগুয়া উত্তর পাশের গার্ড রুমে। একই সময়ে কনস্টেবল কাউসারও ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন।

এদিকে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় গুলশান থানার ওসি মো: মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত এবং অসুস্থ হয়ে কনস্টেবল কাউসার তার তারি কলিগ কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। উক্ত ঘটনায় কনস্টেবল মনির নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরো ২ জন আহত হন।

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনার সময় ঐ সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন একাত্তর টিভির কর্মী হাসান আহমেদ সহ আরো কয়েকজন। হঠাৎ তারা ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে একজন পুলিশ সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায়। আরেকজন সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এখানে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করাতেই অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য তাদের দিকে হুংকার দিয়ে এগিয়ে আসে। তাই তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। এসম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

সম্প্রতি প্রাণ গ্রুপে অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

আপডেট সময় : ১১:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে গত রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বারিধারায় অবস্থিত বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে। গত ৮ জুন শনিবার রাত ১২ টার দিকে হঠাৎ করে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

তবে পুলিশের গুলিতে পুলিশ কিভাবে নিহত হলো সেই বর্ণনা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের আরেক সিকিউরিটি। তারা জানান এই দুর্ঘটনার সময় তারা দূতাবাসের ভেতরে ছিলেন। তারপর ঘটনার সময় হঠাৎ করেই ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তারা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসে। বাইরে বের হয়ে আসার পর দেখেন কাউসার ফিলিস্তিনি দূতাবাসের মেইন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই একটু পরেই পড়ে আছে মনিরুলের মৃতদেহ।

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটার পর তারা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞেস করেন এখানে কি হয়েছে? এর প্রতি উত্তরে কাউসার জবাব দেন “শালা এমনিতে নাটক করতেছে”। এই কথা বলার পর কনস্টেবল কাউসার দূতাবাসের ঠিক বিপরীত পাশে রোডে চলে যান। তারপর সেখানে সবাই বুঝতে পারেন মনিরুল কে কাউসার গুলি করেছেন। নিরাপত্তা কর্মীরা কাউসারকে আটক করেন।

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে ডিউটিরত ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে তার ডিউটি ছিল ফিলিস্তিন দূতাবাসের লাগুয়া উত্তর পাশের গার্ড রুমে। একই সময়ে কনস্টেবল কাউসারও ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন।

এদিকে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় গুলশান থানার ওসি মো: মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত এবং অসুস্থ হয়ে কনস্টেবল কাউসার তার তারি কলিগ কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। উক্ত ঘটনায় কনস্টেবল মনির নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরো ২ জন আহত হন।

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনার সময় ঐ সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন একাত্তর টিভির কর্মী হাসান আহমেদ সহ আরো কয়েকজন। হঠাৎ তারা ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে একজন পুলিশ সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায়। আরেকজন সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এখানে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করাতেই অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য তাদের দিকে হুংকার দিয়ে এগিয়ে আসে। তাই তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। এসম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

সম্প্রতি প্রাণ গ্রুপে অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।