ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতিউর রহমান তার স্ত্রী কে লিখে দেন ৩০০ কোটি টাকার চেক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

মতিউর রহমান তার স্ত্রী কে লিখে দেন ৩০০ কোটি টাকার চেক

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমানের জীবন অনেকটা সিনেমার কাহিনীর মত। নির্দিষ্ট সাধারণ বেতনে চাকরি করলেও আয় করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। নিজের নামে তেমন সম্পত্তি করেননি।। তবে দুই স্ত্রী, পাঁচ সন্তান, ভাই শ্যালোক শালিকাদের দিয়েছেন আলাদিনের চেরাগের মতো।

রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান তার স্ত্রী লায়লা কানিজের জন্য নরসিংদীতে করেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। তার ছোট বউ শাম্মী আক্তার শিবলীর জন্য ফেনীতে তৈরি করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। এছাড়াও তার দুই স্ত্রীর ব্যবহারের জন্য কিনেছেন প্রাডো, মার্সিডিসসহ অন্যান্য বিলাসবহুল ৯ টি গাড়ি।

রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছিলেন তখন তার পাশে অসহায় ভঙ্গিতে হাজির হন ছোট স্ত্রী। রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান মারা গেলে তাদের কি হবে সেই চিন্তায় বিভোর মতিউর রহমান। ছোট স্ত্রীর কথা চিন্তা করে ব্ল্যাংক চেক প্রদান করেন। চেক ব্যবহার করে ছোট স্ত্রী প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ক্যাশ করেন ব্যাংক একাউন্ট থেকে।

এর মধ্য ৫০ কোটি টাকার একটা চেক নগদায়ন করে দেওয়ার প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। ৩০০ কোটি টাকার বিষয়টি নিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বড় স্ত্রী বেশ ক্ষুব্ধ হন।

এসব বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মতিউর রহমান এবং তার দুই স্ত্রী এর কেউই মোবাইলের ফোন রিসিভ করেননি। তাদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালেও তারা কোন জবাব দেননি।

মতিউর রহমান তার স্ত্রী কে লিখে দেন ৩০০ কোটি টাকার চেক

যুগান্তরের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, রাজস্ব বোর্ডে চাকরি কালীন সময়ে ঘুষের টাকার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৈরি করেছেন বিভিন্ন শিল্পকারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা হওয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে তা খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল টাকার মালিক হয়েছেন।

সেই সাথে বাংলাদেশ শেয়ার বাজারে জালিয়াতি করেও কামিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র টাকার জোড়েই নিজের বড় স্ত্রী লায়লা কনিজকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক থেকে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে সেখানে জায়গা জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বড় স্ত্রীর নামে।

রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বড় স্ত্রী লায়লা কানিজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সম্পদ বাগিয়ে নিয়েছে ছোট স্ত্রীর শাম্মী।

এলাকার লোকজন মতিউর রহমানকে শ্বশুরবাড়িকে মিয়া বাড়ি হিসেবে চেনেন।

সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মতিউর রহমানের ছোট ছেলে ইফাদ গত ঈদে কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় ১৪ টি গরু ছাগল ক্রয় করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মতিউর রহমান তার স্ত্রী কে লিখে দেন ৩০০ কোটি টাকার চেক

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমানের জীবন অনেকটা সিনেমার কাহিনীর মত। নির্দিষ্ট সাধারণ বেতনে চাকরি করলেও আয় করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। নিজের নামে তেমন সম্পত্তি করেননি।। তবে দুই স্ত্রী, পাঁচ সন্তান, ভাই শ্যালোক শালিকাদের দিয়েছেন আলাদিনের চেরাগের মতো।

রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান তার স্ত্রী লায়লা কানিজের জন্য নরসিংদীতে করেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। তার ছোট বউ শাম্মী আক্তার শিবলীর জন্য ফেনীতে তৈরি করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। এছাড়াও তার দুই স্ত্রীর ব্যবহারের জন্য কিনেছেন প্রাডো, মার্সিডিসসহ অন্যান্য বিলাসবহুল ৯ টি গাড়ি।

রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছিলেন তখন তার পাশে অসহায় ভঙ্গিতে হাজির হন ছোট স্ত্রী। রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান মারা গেলে তাদের কি হবে সেই চিন্তায় বিভোর মতিউর রহমান। ছোট স্ত্রীর কথা চিন্তা করে ব্ল্যাংক চেক প্রদান করেন। চেক ব্যবহার করে ছোট স্ত্রী প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ক্যাশ করেন ব্যাংক একাউন্ট থেকে।

এর মধ্য ৫০ কোটি টাকার একটা চেক নগদায়ন করে দেওয়ার প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। ৩০০ কোটি টাকার বিষয়টি নিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বড় স্ত্রী বেশ ক্ষুব্ধ হন।

এসব বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মতিউর রহমান এবং তার দুই স্ত্রী এর কেউই মোবাইলের ফোন রিসিভ করেননি। তাদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালেও তারা কোন জবাব দেননি।

মতিউর রহমান তার স্ত্রী কে লিখে দেন ৩০০ কোটি টাকার চেক

যুগান্তরের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, রাজস্ব বোর্ডে চাকরি কালীন সময়ে ঘুষের টাকার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৈরি করেছেন বিভিন্ন শিল্পকারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা হওয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে তা খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল টাকার মালিক হয়েছেন।

সেই সাথে বাংলাদেশ শেয়ার বাজারে জালিয়াতি করেও কামিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র টাকার জোড়েই নিজের বড় স্ত্রী লায়লা কনিজকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক থেকে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে সেখানে জায়গা জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বড় স্ত্রীর নামে।

রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বড় স্ত্রী লায়লা কানিজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সম্পদ বাগিয়ে নিয়েছে ছোট স্ত্রীর শাম্মী।

এলাকার লোকজন মতিউর রহমানকে শ্বশুরবাড়িকে মিয়া বাড়ি হিসেবে চেনেন।

সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মতিউর রহমানের ছোট ছেলে ইফাদ গত ঈদে কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় ১৪ টি গরু ছাগল ক্রয় করেছিলেন।