এমপি আনোয়ারুল আজীমের লাশ রহস্য
- আপডেট সময় : ০৩:২২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খু ন হয়েছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম। তবে তার মৃত দেহ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু আনোয়ারুল আজীমের হত্যা মামলা নিয়ে একের পর এক রহস্য উৎঘাটিত হচ্ছে। তার ব্যক্তিগত গাড়ি এবং গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নানা রকম তথ্য।
এমপি আনোয়ারুল আজীমের ক্যাবচালক কে জিজ্ঞাসা করে বিভিন্ন তথ্য বের করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বা সিআইডি। এরপর তাকে নিয়ে অনুসন্ধানে নামে সিআইডি। আনোয়ারুল আজীমের লাশের সন্ধানে তারা ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি এলাকায় বেশ কয়েক দফায় তল্লাশি চালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১২ তারিখে ভারতে আসেন এমপি আনোয়ারুল আজীম। ভারতের বরানগরে আগে থেকে পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরের দিন ১৩ মে চিকিৎসার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। ঐদিন রাতেই নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি বাসায় তাকে খু ন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম এর হ ত্যা র রহস্যটি নিয়ে ভারতের মিডিয়াগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।
আউটলুক ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এই শিরোনামে “ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিখোঁজ বাংলাদেশ এমপি। পুলিশের সন্দেহ উদ্ধারকৃত খন্ড বিখন্ড মর দেহ তারই”
এমপি আনোয়ারুল আজীমের লাশ রহস্য
এদিকে এমপি আনোয়ার তার গোপাল বিশ্বাস নামের যেই বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন তাকে নিয়েও আস্তে আস্তে সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
কারণ আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার পর থেকে মন্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাসের আর তেমন খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর নিতে তার বাড়িতে যাওয়ন হলে তখন বলা হচ্ছে শরীর খারাপের কারণে তিনি নার্সিংহোমের চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কখনো বলা হচ্ছে তিনি বাড়িতে নেই। তবে গোপালের প্রতিবেশীরা কোন রকম মুখ খুলতে চাইছেন না এ ব্যাপারে।
গোপালের নাম শুনলেই অনেকে তাকে না চেনার কথা জানাচ্ছে। কেউ বলছে এই নামে কাউকে চিনি না। আবার কেউ বলছে আশেপাশে হয়তো থাকে খোঁজ নিয়ে দেখুন।
আনোয়রুল আজীম হ ত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন আমানুল্লাহ যাকে সবাই শিমুল ভূঁইয়া নামে চেনে। আরেকজন হচ্ছেন শিলাস্তি রহমান। অপরজন হচ্ছে ফয়সাল আলী। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জনাব গিয়েছে আনোয়রুল আজীম হ ত্যা মামলায় ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল।