ইতালির উপকূলে নৌকা ডুবে বাংলাদেশীসহ নিহত ১১ জন
- আপডেট সময় : ০৫:০৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
ইতালির উপকূলবর্তী এলাকায় নৌকা ডুবির আলাদা ঘটনা এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সাথে এখন পর্যন্ত আরও ৬৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। ইতালির নৌকাডুবিতে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে মাত্র ৫১ জনকে।
গত সোমবার ইতালির দক্ষিণ অঞ্চলের ল্যাম্পে দুসা ও কালাব্রিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায় এই নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। দুই নৌকায় অবস্থিত যাত্রীদের সবাই ইতালির অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে লিবিয়া এবং তুরস্ক থেকে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল উক্ত নৌকাটি।
ইতালির নৌকাডুবির ঘটনায় জার্মানির একটি রেসকিউ শিপ অথবা জাহাজের সহায়তায় ডুবে যাওয়া দুটি নৌকা থেকে এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত উদ্ধার কাজে আরো সহায়তা করছে ইতালির কোস্টগার্ড বাহিনী।
রেসকিউ শিপের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কে বলেন, আমরা যখন ইতালি যাওয়ার নৌকার খোঁজ পাই তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমাদের উদ্ধারকর্মীরা প্রথমে নৌকার উপরে ডেকে থাকা লোকদেরকে উদ্ধার করে। তারপর ডেকের নিচে অনেক লোক ছিল। ডেকটি পানি ও পেট্রোলের মিশ্রণ দ্বারা ভরপুর ছিল।
সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় মোট ১২ জনকে উদ্ধার করে কিন্তু এর ভেতরে মাত্র ২ জন জীবিত ছিলেন।
ইতালির উপকূলে নৌকা ডুবে বাংলাদেশীসহ নিহত ১১ জন
ইতালির নৌকাডুবি কে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ডুবে যাওয়া নৌকার অভিবাসন প্রত্যাশীদের মুদ্র মিশর, আফগানিস্তান, সিরিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন।
আরো দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে নিখোঁজ ৬৬ জনের মধ্যে অন্ততপক্ষে ২৬ জন শিশু আছেন। এদের অনেক শিশুর বয়স এখন পর্যন্ত ১ বছরও হয়নি।
স্বপ্নের দেশ ইতালিতে নৌকায় করে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকে। মূলত লিবিয়া এবং তুরস্কের উপকূল থেকে এভাবে যাওয়া হয়। করোনার মহামারী এবং তার পরবর্তী সময়গুলোতে এ যাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইতালি তে নৌকা দুর্ঘটনা এটিই প্রথমবার নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইতালিতে যাওয়া নৌকাগুলি নিখোঁজ এবং দুর্ঘটনার ঘটনা শোনা গিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইতালি অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্য নিখোঁজ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।
সংখ্যাটা অনেক বড়। উন্নত জীবনযাপন এবং স্বচ্ছ অর্থনৈতিক অবস্থার আশায় অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ইতালি পাড়ি জমায়। এদের মধ্যে অনেকের সফল হয় আবার কেউ কেউ দুর্ঘটনায় পড়ে নিজের প্রাণ হারান।