ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাইসির হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার পিছনের কারণ কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে

রাইসির হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার পিছনের কারণ কি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু ঘটেছে। সেই সাথে আরও মারা গিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ ইরানের আরও শীর্ষ কয়েক নেতা। গত ১৯ মে রবিবার ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জনমনে রয়ে গেছে নানা রকম প্রশ্ন। সত্যিই কি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কবলিত করেছিল? নাকি এর পেছনে থাকতে পারে অন্য কোন কারণ।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার করে আজবাইন প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে একটি প্রদেশ রয়েছে যার নাম জোলফা। এলাকাটি ঘন কুয়াশায় ভরা ছিল। সেই সাথে বৃষ্টিও হচ্ছিল। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর কারণ হিসেবে সে সময়কার বৈরী এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে দায়ী করা দায়ী করে ইরানের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

তবে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি কিভাবে বিধ্বস্ত হলো সে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইরান। উক্ত ব্যাপারে ইরানকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলিত হওয়ার সঠিক কারণ জানার জন্য সব রকমের সহযোগিতা আমরা দিতে প্রস্তুত।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এ ব্যাপারে বলেছে, উচ্চ ও গভীর উপত্যকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অনেক সময় পাইলট বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। যেটিও দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

ইউএসএস এ ব্যাপারে বলেছে, গভীর উপত্যকায় বাতাসের গতিপথ হঠাৎ করেই পাল্টে যায়। এ গতি এতটাই উঠানামা করে যে অনেক সময় পাইলটের পক্ষে হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব না। তাছাড়া উক্ত সময় সেখানে কুয়াশা হচ্ছিল।

রাইসির হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার পিছনের কারণ কি

কাইল বেইলি নামের একজন বিমান বিশেষজ্ঞ আলজাজিরাকে বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত হওয়ার আগে হেলিকপ্টারটির পাইলটরা কোনরকম যোগাযোগ করে সাহায্য চায় নি। যার ফলে ধারণা করা যায় যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।

তাছাড়া আকাশে থাকা অবস্থায় কোন বিমান যদি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে তাহলে পাইলটের প্রথম কাজ হল সেটিকে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করা। তারপর সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করা। তারা হয়তো বা সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করার আগেই দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম থেকে বহনকারী ওই হেলিকপ্টারটির মডেল ছিল বেল-২১২। যেই হেলিকপ্টারটি তৈরি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেটি ইরান ইসলামের বিপ্লবের আগেই কিনে কিনেছিলো। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি বেশ পুরনো মডেলের হেলিকপ্টার। ইরানে এর আগেও এই মডেলের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাইসির হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার পিছনের কারণ কি

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু ঘটেছে। সেই সাথে আরও মারা গিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ ইরানের আরও শীর্ষ কয়েক নেতা। গত ১৯ মে রবিবার ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জনমনে রয়ে গেছে নানা রকম প্রশ্ন। সত্যিই কি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কবলিত করেছিল? নাকি এর পেছনে থাকতে পারে অন্য কোন কারণ।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার করে আজবাইন প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে একটি প্রদেশ রয়েছে যার নাম জোলফা। এলাকাটি ঘন কুয়াশায় ভরা ছিল। সেই সাথে বৃষ্টিও হচ্ছিল। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর কারণ হিসেবে সে সময়কার বৈরী এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে দায়ী করা দায়ী করে ইরানের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

তবে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি কিভাবে বিধ্বস্ত হলো সে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইরান। উক্ত ব্যাপারে ইরানকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলিত হওয়ার সঠিক কারণ জানার জন্য সব রকমের সহযোগিতা আমরা দিতে প্রস্তুত।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এ ব্যাপারে বলেছে, উচ্চ ও গভীর উপত্যকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অনেক সময় পাইলট বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। যেটিও দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

ইউএসএস এ ব্যাপারে বলেছে, গভীর উপত্যকায় বাতাসের গতিপথ হঠাৎ করেই পাল্টে যায়। এ গতি এতটাই উঠানামা করে যে অনেক সময় পাইলটের পক্ষে হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব না। তাছাড়া উক্ত সময় সেখানে কুয়াশা হচ্ছিল।

রাইসির হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার পিছনের কারণ কি

কাইল বেইলি নামের একজন বিমান বিশেষজ্ঞ আলজাজিরাকে বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত হওয়ার আগে হেলিকপ্টারটির পাইলটরা কোনরকম যোগাযোগ করে সাহায্য চায় নি। যার ফলে ধারণা করা যায় যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।

তাছাড়া আকাশে থাকা অবস্থায় কোন বিমান যদি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে তাহলে পাইলটের প্রথম কাজ হল সেটিকে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করা। তারপর সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করা। তারা হয়তো বা সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করার আগেই দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম থেকে বহনকারী ওই হেলিকপ্টারটির মডেল ছিল বেল-২১২। যেই হেলিকপ্টারটি তৈরি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেটি ইরান ইসলামের বিপ্লবের আগেই কিনে কিনেছিলো। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি বেশ পুরনো মডেলের হেলিকপ্টার। ইরানে এর আগেও এই মডেলের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল।