হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কিভাবে
- আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে এর। অন্যান্য মাধ্যমগুলোর মত হোয়াটসঅ্যাপেও দিন দিন প্রতারকদের আনাগোনা বেশ দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন রকম ছলছাতুরী কিংবা মানুষের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা পয়সা ও বিভিন্ন রকম তথ্য। সেই সাথে অনেকেই ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার হচ্ছে।
তাই একজন হোয়টসঅ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে আপনাকে সর্বদাই এসকল ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। চলুন জেনে নেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা থেকে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করতে পারেন।
প্রথমতঃ
অপরিচিত নম্বর থেকে কেউ মেসেজ দিলে সবার আগে যাচাই করে নিন।
যে কেউ সহজেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো থেকে ছবি নিয়ে আপনার নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তারপর সেই একাউন্ট ব্যবহার করে আপনার আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের আইডিতে অর্থ সাহায্যে মেসেজ পাঠাতে পারেন। তাই অপরিচিত নম্বর থেকে এধরনের কোন সাহায্যের মেসেজ আসলে তার আসল নম্বর কিংবা পরিবারের অন্য কাউকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।
দ্বিতীয়তঃ
আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিংবা ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্যগুলোই অনলাইনে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে প্রতারকরা সহজেই আপনার সাথে প্রতারণা করার সুযোগ পেয়ে যায়।
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কিভাবে
তৃতীয়তঃ
হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অপরিচিত কারো থেকে সন্দেহজনক লিংক বা কোন ফাইল ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন। এসকল লিংক বা ফাইলের মাধ্যমে প্রতারকরা আপনার ডিভাইসে ভাইরাস প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন। সম্ভব হলে ডিভাইসগুলোতে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে রাখুন।
চতুর্থতঃ
ইদানিং প্রতারকরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন। হঠাৎ করে মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে বড় কোন গিফট, কুড়িয়ে পাওয়ার টাকা কিংবা লটারির অফার দেওয়া হতে পারে। সেটি হতে পারে দেশ কিংবা বিদেশ থেকে। ভুলেও এসকল ফাঁদে পা দেবেন না। মেসেজ দেখার সাথে সাথে নম্বরটি ব্লক করে দিন। যত বেশি কথা বাড়াবেন তত ফাঁদের দিকে আগাবেন। তাছাড়া হঠাৎ করে অপরিচিত নাম্বার থেকে ভিডিও কল আসলে রিসিভ করবেন না। প্রয়োজন হলে অডিও কল দিয়ে শুরু করুন।
হোয়াটসঅ্যাপ সহ সকল অ্যাকাউন্ট গুলোতে টু-ফ্যাক্টর অন করে রাখুন এবং শক্তিশালী একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন। সেগুলি অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
আমরা অনেক সতর্কতা অবলম্বন করার পরেও মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এতে করে হারিয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং পড়তে হয় নানা রকম ঝামেলায়। তাই সংবেদনশীল বা গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছু মোবাইলে না রাখাই ভালো। সাধারণ ফাইলগুলোর জন্য ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন।