পিরিয়ডের ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- আপডেট সময় : ০৪:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
পিরিয়ডের সময় নারীদের হরমোনের উঠা নামা সবচাইতে বেশি হয়। তাই এই সময় নারীদের সবচাইতে বেশি মুড সুইং দেখা যায়। কারণ নারীদের পিরিয়ডের সময় পেট ও কোমরে প্রচন্ড রকম ব্যথা করে। সেই সাথে দেখা দেয় ক্লান্তি ও বমি বমি ভাব। তবে সবার ক্ষেত্রে যে একই রকম উপসর্গগুলি দেখা দেবে তা নয়। একেক জনের ক্ষেত্রে উপসর্গ গুলি একেক রকম হয়। তাই আপনাদের জন্য আজকে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার ৬ টি ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
গরম পানির সেকঁ নেওয়া
মেয়েদের পিরিয়ডের সময় গরম পানির সেকঁ ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি নিয়ে পেটে এবং তলপেটে সেকঁ নেওয়া যেতে পারে। সেই সাথে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। হট ওয়াটার ব্যাগ না থাকলে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করতে পারেন।
আদার রস
মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আদার রস আরেকটি কার্যকরী উপায়। পিরিয়ডের দিনগুলোতে আপনি আদা দিয়ে চা পান করতে পারেন। তাছাড়া আদর সঙ্গে মধু, চিনি ও গরম পানি মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার পান করলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়।
পেঁপে খাওয়া
শরীরের বিভিন্ন রোগের জন্য পেঁপে এন্টিবায়োটিকের মত ভূমিকা পালন করে। তাই পিরিয়ডের সময়গুলোতে পেঁপে খেতে পারে। পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটাই কমে যেতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
অ্যালোভেরা
আমাদের তাদের কাছে খুব সহজে একটি উপকারী জিনিস পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে অ্যালোভেরা। বিভিন্ন রূপচর্চার কাজে অ্যালোভেরা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর জন্য অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারে। এভাবে ১২ দিন খেলেই ব্যাথা অনেকের কমে যাবে
প্রচুর পানি পান করা
পিরিয়ডের সময় মেয়েদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। যে কারণে শরীরে বিভিন্ন রকম ব্যাথা ও উপসর্গ তৈরি হয়। তাই পিরিয়ডের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
ব্যায়াম করুন
একটি সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যকীয়। নিজের ঘরেই ইউটিউব দেখে কিছু ব্যায়াম শিখে সেগুলো নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে পারেন। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং পিরিয়ডের ব্যথাও কমে যাবে।
যদি আপনার পিরিয়ডের ব্যথা সব সময় হতে থাকে এবং দিন দিন ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকে তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে পিরিয়ডের সকল সমস্যা দূর করা যায়। আর পিরিয়ডের সময় সতর্কতার সহিত হাইজেন মেইনটেইন করুন।