ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ। এরকমটিই আজ ঘোষণা দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। আজ ৫ জুন বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে সরকারি চাকরির মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য কোটার ব্যাপারে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এই ঘোষণার ফলে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযুদ্ধ কোটা ৩০% হারে বহাল থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা।

এর আগে ২০১৮ সালে জারি করা একটি পরিপত্রে বলা হয়, সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সকল নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে। সেই সাথে এ সকল গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি তুলে নেওয়া হল।

পরে ওই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটার ঘোষণার বিরুদ্ধে রিট করেন ৭ জন শিক্ষার্থী। সেই এদের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর নতুন একটি রুল জারি করে মহামান্য হাইকোর্ট। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে নতুন একটি জারি পত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে যা হয় উক্ত রিটে।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার রিটের পক্ষে আদালতের শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী মোঃ মনসুরুল হক চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে

আমরা জানি সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন রকম কোটা পদ্ধতি বিদ্যমান আছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, পোষ্যকোটা, উপজাতি কোটা ইত্যাদি। কোন সরকারি চাকরিতে যদি ১০০ জন লোক নেওয়া হয় তাহলে কোটাধারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে ৩০%।। অর্থাৎ যারা এ সকল কোটার অন্তর্ভুক্ত তারা নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে।

ঠিক এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা গুলি বাতিল করা নিয়ে এর আগে আদালতে রিট করা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে সকল ধরনের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা ৩০ পারসেন্ট হারেই বহাল থাকবে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে ভালো একটি সরকারি চাকরি করার। কিন্তু অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এ সকল কোটা ধারীদের কাছে হেরে যায়। কারণ প্রত্যেকটি সরকারি চাকরিতে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটাধারীদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ রাখতে হয়। এ কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সরকারি চাকরি হতে বঞ্চিত হয়।

আদালতের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা আগের মতই বহাল থাকে।

সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে কোরবানির গরু ও পশুর চামড়ার দাম। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে

আপডেট সময় : ০৯:০৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ। এরকমটিই আজ ঘোষণা দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। আজ ৫ জুন বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে সরকারি চাকরির মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য কোটার ব্যাপারে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এই ঘোষণার ফলে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযুদ্ধ কোটা ৩০% হারে বহাল থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা।

এর আগে ২০১৮ সালে জারি করা একটি পরিপত্রে বলা হয়, সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সকল নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে। সেই সাথে এ সকল গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি তুলে নেওয়া হল।

পরে ওই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটার ঘোষণার বিরুদ্ধে রিট করেন ৭ জন শিক্ষার্থী। সেই এদের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর নতুন একটি রুল জারি করে মহামান্য হাইকোর্ট। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে নতুন একটি জারি পত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে যা হয় উক্ত রিটে।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার রিটের পক্ষে আদালতের শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী মোঃ মনসুরুল হক চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে

আমরা জানি সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন রকম কোটা পদ্ধতি বিদ্যমান আছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, পোষ্যকোটা, উপজাতি কোটা ইত্যাদি। কোন সরকারি চাকরিতে যদি ১০০ জন লোক নেওয়া হয় তাহলে কোটাধারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে ৩০%।। অর্থাৎ যারা এ সকল কোটার অন্তর্ভুক্ত তারা নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে।

ঠিক এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা গুলি বাতিল করা নিয়ে এর আগে আদালতে রিট করা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে সকল ধরনের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা ৩০ পারসেন্ট হারেই বহাল থাকবে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে ভালো একটি সরকারি চাকরি করার। কিন্তু অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এ সকল কোটা ধারীদের কাছে হেরে যায়। কারণ প্রত্যেকটি সরকারি চাকরিতে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটাধারীদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ রাখতে হয়। এ কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সরকারি চাকরি হতে বঞ্চিত হয়।

আদালতের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটা আগের মতই বহাল থাকে।

সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে কোরবানির গরু ও পশুর চামড়ার দাম। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।