ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরে মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ কোটি টাকার ক্ষতি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এরকম খবর আমরা প্রায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং নিউজ চ্যানেলে দেখে থাকি। একজন উদ্যোক্তাকে পথে বসানোর জন্য হিংসা কিংবা শত্রুতা থেকে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ হত্যা করা হয়। সম্প্রতি ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গাজিপুরের কালিয়াকৈরে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৮২ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ করে কোটি কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

বিষ প্রয়োগের ফলে আজ কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মদনখালী গ্রামের নদীয়ার বিল মৎস্য খামারে লক্ষ লক্ষ মাছ মরা মাছ ভেসে ওঠে।

উক্ত খামারের মালিকের নাম মোঃ নুরুল ইসলাম। মাছের খামারের মালিক নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানান, গত মঙ্গলবার বিকালের দিকে বোয়ালি ইউনিয়ন পরিষদের মদনখালী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য যার নাম মোঃ বদল মিয়া তিনি সহ তার কিছু ২০-৩০ জন লোক মিলে এই খামারে হামলা চালান।

গাজীপুরে মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ কোটি টাকার ক্ষতি

তারা খামারে হামলা চালানোর সময় গুদাম ঘর ভাঙচুর করেন। সেই সাথে তার ৮২ বিঘা আয়তনের উপর অবস্থিত মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ করেন।

এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল ফজল মোঃ নাসিম সাংবাদিকদের কে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক মোঃ নুরুল ইসলাম এব্যাপারে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বাদল বলেন, আমি খামারে কোন বিষ প্রয়োগ করিনি। আমি এক সময় এই খামারের ভাগীদার ছিলাম। খামারের মালিক মোঃ নুরুল ইসলামের কাছে আমি বেশ কিছু টাকা পাবো।

এ ব্যাপারে বলে ইউনিয়ন সদস্যের চলমান চেয়ারম্যান আব্দুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই পুকুর নিয়ে মোঃ নুরুল ইসলাম এবং অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্য বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে আসলে আমরা একটি সমাধানের জন্য তারিখ দিয়েছিলাম। কিন্তু সাবেক ইউপি সদস্য বাদল ঐ প্রস্তাবটি মেনে নেয় নি এবং এরকম একটি জঘন্য কাজ করেছে। অবশ্যই এর যথাযথ বিচার হওয়া প্রয়োজন।

খামারী মালিক মোঃ নুরুল ইসলাম এখন কোটি টাকার মাছ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জানা যায় তিনি মাছ চাষের জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে বেশ টাকা লোন উঠিয়েছেন।

উক্ত ঘটনায় কালিয়াকৈরের সকল মানুষ বেশ স্তম্বিত। এরকম একটি অমানবিক কাজের নিন্দা জানাচ্ছেন সবাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ কোটি টাকার ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৪:০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

এরকম খবর আমরা প্রায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং নিউজ চ্যানেলে দেখে থাকি। একজন উদ্যোক্তাকে পথে বসানোর জন্য হিংসা কিংবা শত্রুতা থেকে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ হত্যা করা হয়। সম্প্রতি ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গাজিপুরের কালিয়াকৈরে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৮২ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ করে কোটি কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

বিষ প্রয়োগের ফলে আজ কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মদনখালী গ্রামের নদীয়ার বিল মৎস্য খামারে লক্ষ লক্ষ মাছ মরা মাছ ভেসে ওঠে।

উক্ত খামারের মালিকের নাম মোঃ নুরুল ইসলাম। মাছের খামারের মালিক নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানান, গত মঙ্গলবার বিকালের দিকে বোয়ালি ইউনিয়ন পরিষদের মদনখালী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য যার নাম মোঃ বদল মিয়া তিনি সহ তার কিছু ২০-৩০ জন লোক মিলে এই খামারে হামলা চালান।

গাজীপুরে মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ কোটি টাকার ক্ষতি

তারা খামারে হামলা চালানোর সময় গুদাম ঘর ভাঙচুর করেন। সেই সাথে তার ৮২ বিঘা আয়তনের উপর অবস্থিত মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ করেন।

এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল ফজল মোঃ নাসিম সাংবাদিকদের কে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক মোঃ নুরুল ইসলাম এব্যাপারে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বাদল বলেন, আমি খামারে কোন বিষ প্রয়োগ করিনি। আমি এক সময় এই খামারের ভাগীদার ছিলাম। খামারের মালিক মোঃ নুরুল ইসলামের কাছে আমি বেশ কিছু টাকা পাবো।

এ ব্যাপারে বলে ইউনিয়ন সদস্যের চলমান চেয়ারম্যান আব্দুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই পুকুর নিয়ে মোঃ নুরুল ইসলাম এবং অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্য বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে আসলে আমরা একটি সমাধানের জন্য তারিখ দিয়েছিলাম। কিন্তু সাবেক ইউপি সদস্য বাদল ঐ প্রস্তাবটি মেনে নেয় নি এবং এরকম একটি জঘন্য কাজ করেছে। অবশ্যই এর যথাযথ বিচার হওয়া প্রয়োজন।

খামারী মালিক মোঃ নুরুল ইসলাম এখন কোটি টাকার মাছ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জানা যায় তিনি মাছ চাষের জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে বেশ টাকা লোন উঠিয়েছেন।

উক্ত ঘটনায় কালিয়াকৈরের সকল মানুষ বেশ স্তম্বিত। এরকম একটি অমানবিক কাজের নিন্দা জানাচ্ছেন সবাই।