ঘনিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
- আপডেট সময় : ০৪:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
আজ ২৬ শে মার্চ সোমবার। দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বিগত কয়েকদিন ধরেই বঙ্গোপসাগর থেকে খানিকটা দূরে আস্তে আস্তে ঘনীভূত হচ্ছিলো ঘূর্ণিঝড় রেমাল। উক্ত ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের উপর দিয়ে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় ১৬/১৭ টি জেলায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসকল ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া উক্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইতিমধ্যে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিষয় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলা যেমন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা ইত্যাদি এলাকা গুলো দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হতে পারে।
ঘনিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও উত্তরবঙ্গের এলাকাগুলোতে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অবশ্য গতকাল রবিবার রাত থেকে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে মেঘলা আবহাওয়া এবং দমকা বাতাস বিরাজ করছে। কিছু কিছু স্থানে ভারী এবং মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আমরা জানি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ খানিকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটেছে। এর ফলে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ অনেক অংশে কমে গেছে। তবে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক সাংবাদিকদেরকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে আমরা আস্তে আস্তে সরবরাহ বাড়াবো।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। উক্ত ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষে এসকল মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মহিবুর রহমান সাংবাদিকদের কে এই তথ্য জানিয়েছেন।
যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেই আমাদের জীবন খানিকটা ব্যাহত হয়। তারপর দুর্যোগ কেটে গেলে আমরাও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি। কিন্তু এসকল দুর্যোগে আমরা যেন খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হই তাই আমাদের অনেক আগে থেকেই দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। তাহলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের মত সকল ধরনের দুর্যোগ থেকে আমরা আমাদের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারবো।