ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন
- আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
রবিবারে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র আঘাত এনেছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত হানা শেষেও সেরা দেশ জুড়ে এর প্রভাব কাটেনি। সেই সাথে সংঘটিত হয়েছে বেশ ক্ষয়ক্ষতি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে লক্ষ লক্ষ বিদ্যুতের গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। এতে করে অত্যন্ত দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন এএলাকার মানুষজন। শুধু বিদ্যুতের খুঁটি নয় বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমলের তাণ্ডবে অনেকের বসতবাড়ি ভেঙে গেছে এবং গাছপালা উপড়ে গেছে। সেই সাথে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ।
গত সোমবার ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমলের প্রভাবে সারা বাংলাদেশে যে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি শুরু হয় সেটি এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। সেই সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা।
শুধু তাই নয় মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিটি অংশ ব্যাহত হয়েছে এর প্রভাবে। চাকরিজীবীদের অফিসে যেতে সমস্যা হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ঠিকভাবে করতে পারছে না।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন
তবে সবচাইতে দুঃখজনক ব্যাপার হলো ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের নিহতের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। রেমালের আঘাতে নিহতদের মধ্য ঢাকায় ৪ জন, বরিশালে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, কুমিল্লায় ১ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, খুলনাতে ১ জন, পটুয়াখালীতে ১ জন।
ঢাকায় নিহত হওয়া ৪ জনের মধ্য নারীও আছে। এদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মূলত বিদ্যুৎ দুর্ঘটনায়। যার মধ্যে একজন ১৬ বছর বয়সী মেয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে টিনের দেয়াল স্পর্শ করে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান।
আবার ঢাকার খিলগাঁও এলাকার মরিয়ম বেগম নামের ৪৫ বছর বয়সী এক নারী রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান।
শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অসংখ্য মানুষের বসতবাড়ী, রাস্তাঘাট এবং বিদ্যুতের খুটি ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি এবং মৎস্য খামার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বিদ্যুৎ বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমলের প্রভাবে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতি হয়েছে ৯১ কোটি টাকার বেশি। তবে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হতে পারতো, কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও সুন্দরবন আমাদের এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি হতে বাঁচিয়েছে।
দুর্যোগ কালীন সময়ে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। প্রিয় আপনজনদের এমন মৃত্যু কারোই কাম্য নয়। ঘূর্ণিঝড় রেমাল শেষ হয়ে গেল এর প্রভাব যেহেতু এখনো আছে তাই আমাদেরকে এখনো সতর্কতার সহিত চলাফেরা করতে হবে। সেই সাথে আমাদের আশেপাশের যারা ক্ষয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে হবে।