ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিয়া জান্নাতুলের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিয়া জান্নাতুলের

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনপ্রিয় এবং আলোচিত অভিনেত্রী নায়িকা পরিমনির সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে চাকরি হারাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এডিসি গোলাম সাকলায়েন। সম্প্রতি এ খবরটি গণ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে।

এবার সেই অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন পিয়া জান্নাতুল। পিয়া জান্নাতুল বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় মডেল এবং আইনজীবী।

আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার পিয়া জান্নাতুল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে লিখেন, এই সেই ব্যক্তি, আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় যিনি ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। মামলা চলাকালীন সময়ে প্রায় ৬-৭ দিন নিয়মিত আমি এবং আমার মা মিলে বাবাকে দেখতে গোয়েন্দা অফিসে যেতাম।

যিনি (গোলাম সাকলায়েন) প্রতারণামূলকভাবে এবং অনেকটা জোরপূর্বক সিআরপিসি ১৬৪ ধারার অধীনে আমার বাবার সম্মতি নেওয়ার চেষ্টা করেন।

পিয়া জান্নাতুল আরো উল্লেখ করেন, আমি বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম সম্মতি না দেওয়ার, কারণ তিনি উক্ত ঘটনার সাথে মোটেও জড়িত ছিলেন না। কিন্তু আমি গোয়েন্দা অফিসে যাওয়ার আগে এডিসি সাকলায়েন আমার আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে পরের দিন মহামান্য আদালতে জমা প্রদান করেন।

আমি উক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং আব্বাকে আর আমাকে চুপ থাকতে বলেন। কিন্তু তার জানা ছিল না যে আমি চুপ থাকার জন্য জন্মাইনি।

পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিয়া জান্নাতুলের

মডেল পিয়া জান্নাতুল আরো লিখেন, ঘটনার যেদিন এফ আর টাওয়ারে আগুনের জন্য জমির মালিক হিসেবে আমার বাবাকে গ্রেফতার করেছিলেন তখন আমার বাবা এতটাই অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। ঘটনার সময় আমার বাবার বয়স ছিল ৭৭ বছর।

এডিসি সাকলায়েন সম্পর্কে প্রিয় জান্নাতুল লিখেন, আমার মতে সাকলায়েন লোকটি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, ধূর্ত এবং সেই সাথে প্রতিভাবান। কিন্তু তার একটা ছোট ভুল সবকিছুকে তছনছ করে দিল।

যদিও আমরা অনেক সময় মানুষের অপকর্মের জন্য তাদেরকে ক্ষমা করে দেই। কিন্তু প্রকৃতি এবং সর্বশক্তিমান রয়েছেন তাদের সব সময় সঠিক এবং উপযুক্ত বিচার করার জন্য।

পরিমনির সাথে অবৈধ সম্পর্কের সময় অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েন গুলশান বিভাগের গোয়েন্দা ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বেত ছিলেন। উক্ত ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং সামনে আসার পর তাকে বদলি করা হয়। তার পোস্টিং হয় ঝিনাইদহ জেলার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে।

এখন পরিমনির সাথে অবৈধ সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ বিভাগীয় মামলায় অভিযুক্ত সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাকলায়েনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে পরিমনির বাসায় একাধিক রাত এবং দিনে অবস্থান করার প্রমাণ মিলেছেন।

মূলত ২০২১ সালের ১৩ জন বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরিমনির করা মামলাকে ঘিরে অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েন এবং পরিমনির মধ্য একটি সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিয়া জান্নাতুলের

আপডেট সময় : ০৭:৫২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

জনপ্রিয় এবং আলোচিত অভিনেত্রী নায়িকা পরিমনির সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে চাকরি হারাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এডিসি গোলাম সাকলায়েন। সম্প্রতি এ খবরটি গণ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে।

এবার সেই অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন পিয়া জান্নাতুল। পিয়া জান্নাতুল বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় মডেল এবং আইনজীবী।

আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার পিয়া জান্নাতুল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে লিখেন, এই সেই ব্যক্তি, আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় যিনি ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। মামলা চলাকালীন সময়ে প্রায় ৬-৭ দিন নিয়মিত আমি এবং আমার মা মিলে বাবাকে দেখতে গোয়েন্দা অফিসে যেতাম।

যিনি (গোলাম সাকলায়েন) প্রতারণামূলকভাবে এবং অনেকটা জোরপূর্বক সিআরপিসি ১৬৪ ধারার অধীনে আমার বাবার সম্মতি নেওয়ার চেষ্টা করেন।

পিয়া জান্নাতুল আরো উল্লেখ করেন, আমি বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম সম্মতি না দেওয়ার, কারণ তিনি উক্ত ঘটনার সাথে মোটেও জড়িত ছিলেন না। কিন্তু আমি গোয়েন্দা অফিসে যাওয়ার আগে এডিসি সাকলায়েন আমার আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে পরের দিন মহামান্য আদালতে জমা প্রদান করেন।

আমি উক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং আব্বাকে আর আমাকে চুপ থাকতে বলেন। কিন্তু তার জানা ছিল না যে আমি চুপ থাকার জন্য জন্মাইনি।

পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিয়া জান্নাতুলের

মডেল পিয়া জান্নাতুল আরো লিখেন, ঘটনার যেদিন এফ আর টাওয়ারে আগুনের জন্য জমির মালিক হিসেবে আমার বাবাকে গ্রেফতার করেছিলেন তখন আমার বাবা এতটাই অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। ঘটনার সময় আমার বাবার বয়স ছিল ৭৭ বছর।

এডিসি সাকলায়েন সম্পর্কে প্রিয় জান্নাতুল লিখেন, আমার মতে সাকলায়েন লোকটি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, ধূর্ত এবং সেই সাথে প্রতিভাবান। কিন্তু তার একটা ছোট ভুল সবকিছুকে তছনছ করে দিল।

যদিও আমরা অনেক সময় মানুষের অপকর্মের জন্য তাদেরকে ক্ষমা করে দেই। কিন্তু প্রকৃতি এবং সর্বশক্তিমান রয়েছেন তাদের সব সময় সঠিক এবং উপযুক্ত বিচার করার জন্য।

পরিমনির সাথে অবৈধ সম্পর্কের সময় অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েন গুলশান বিভাগের গোয়েন্দা ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বেত ছিলেন। উক্ত ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং সামনে আসার পর তাকে বদলি করা হয়। তার পোস্টিং হয় ঝিনাইদহ জেলার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে।

এখন পরিমনির সাথে অবৈধ সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ বিভাগীয় মামলায় অভিযুক্ত সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাকলায়েনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে পরিমনির বাসায় একাধিক রাত এবং দিনে অবস্থান করার প্রমাণ মিলেছেন।

মূলত ২০২১ সালের ১৩ জন বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরিমনির করা মামলাকে ঘিরে অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েন এবং পরিমনির মধ্য একটি সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।