ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরাফার দিন কবে ২০২৪

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে

আরাফার দিন কবে ২০২৪

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সামনেই আসছে জিলহজ্ব মাস এবং ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। সেই সাথে অনেকে জানতে চাচ্ছেন এবার আরাফার দিন কবে হতে পারে। কারণ জিলহজ্ব মাসকে ঘিরে মুসলমানদের জন্য বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলোর গুরুত্ব অনেক। তাই চলুন জেনে নেই এ বছরের আরাফার দিন কবে এবং আরাফার দিনে কি কি আমল পালন করতে হয়।

এবারের আরাফার দিন কবে সেই প্রশ্নের উত্তর হলো, চলতি মাস অর্থাৎ জুন মাসের ১৫ তারিখ শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরের দিন ১৬ জুন রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরাফার দিন থাকবে। তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে এটা যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। মিশরীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী এটিই হচ্ছে এবারের আরাফার তারিখ ও সময়।

আরাফার দিন কবে সেটা তো জেনে গিয়েছেন চলুন এবার জেনে নেই জিলহজ্ব মাসের বিশেষ আমল সম্পর্কে। বিভিন্ন হাদিস দ্বারা বর্ণিত আছে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা।) জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা পালন করতেন। এ রোজা জিলহজ্ব মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ আরাফার দিন পর্যন্ত পালন করা হয়।

বিভিন্ন হাদিস দ্বারা এটি প্রমাণিত যে এই ৯টি রোজায় বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এমনকি মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে বলেছেন, যে ব্যক্তি জিলহজ্ব মাসের এই ৯ টি রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার পূর্বের ১ বছরের সমস্ত গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। এই রোজাগুলো আপনি জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ভেতরে রাখতে পারবেন।

আরাফার দিন কবে ২০২৪

সেই সাথে আরাফার দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা পালন করে সেটি তা করতে পারেন। কেউ যদি মনে করেন এর চাইতে আরও বেশি রোজা রাখবেন সেটিও রাখতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের দিন রোজা পালন করা যাবে না।

আবার জিলহজ্ব মাসের আরেকটি বিশেষ দিন হচ্ছে আরাফার দিন। আরাফার দিন কবে হবে সেটি অনেকে জানতে চায় কারণ এই দিনে একটি বিশেষ রোজা রাখার আমল রয়েছে।

আরাফার দিনে মূলত হাজিরা আরাফার ময়দানে হাজির হন। তার জন্য আরাফার দিন কবে হবে সেটি মূলত ক্যালেন্ডার দেখে বের করা হয় না। হজের সময় অনুযায়ী যেই দিন হাজিরা আরাফার ময়দানে উপস্থিত হবেন সেটি আরাফার দিন বলে গণ্য হবে। আরাফার দিন কবে হবে সেটি আপনারা খবরে হাজীদের আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়া দেখেও নির্ধারণ করতে পারেন। আরাফার দিনে একটি রোজা বা সিয়াম পালন করলেই হবে।

আবার অনেকে মনে করেন জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা না রেখে শুধু আরাফার দিনে রোজা রাখলে হবে না। বিষয়টা এরকম নয়। আপনি অন্য দিন রোজা না রেখেও আরাফার দিন রোজা রাখতে পারেন।

আরাফার দিন কবে হবে এবং সেই দিনের ফজিলত কি সম্পর্কে আপনাদেরকে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই ফজিলতপূর্ণ সময়ে আপনারা আরও বেশি আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হতে পারবেন।

জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আরাফার দিন কবে ২০২৪

আপডেট সময় : ১০:১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

সামনেই আসছে জিলহজ্ব মাস এবং ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। সেই সাথে অনেকে জানতে চাচ্ছেন এবার আরাফার দিন কবে হতে পারে। কারণ জিলহজ্ব মাসকে ঘিরে মুসলমানদের জন্য বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলোর গুরুত্ব অনেক। তাই চলুন জেনে নেই এ বছরের আরাফার দিন কবে এবং আরাফার দিনে কি কি আমল পালন করতে হয়।

এবারের আরাফার দিন কবে সেই প্রশ্নের উত্তর হলো, চলতি মাস অর্থাৎ জুন মাসের ১৫ তারিখ শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরের দিন ১৬ জুন রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরাফার দিন থাকবে। তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে এটা যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। মিশরীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী এটিই হচ্ছে এবারের আরাফার তারিখ ও সময়।

আরাফার দিন কবে সেটা তো জেনে গিয়েছেন চলুন এবার জেনে নেই জিলহজ্ব মাসের বিশেষ আমল সম্পর্কে। বিভিন্ন হাদিস দ্বারা বর্ণিত আছে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা।) জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা পালন করতেন। এ রোজা জিলহজ্ব মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ আরাফার দিন পর্যন্ত পালন করা হয়।

বিভিন্ন হাদিস দ্বারা এটি প্রমাণিত যে এই ৯টি রোজায় বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এমনকি মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে বলেছেন, যে ব্যক্তি জিলহজ্ব মাসের এই ৯ টি রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার পূর্বের ১ বছরের সমস্ত গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। এই রোজাগুলো আপনি জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ভেতরে রাখতে পারবেন।

আরাফার দিন কবে ২০২৪

সেই সাথে আরাফার দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা পালন করে সেটি তা করতে পারেন। কেউ যদি মনে করেন এর চাইতে আরও বেশি রোজা রাখবেন সেটিও রাখতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের দিন রোজা পালন করা যাবে না।

আবার জিলহজ্ব মাসের আরেকটি বিশেষ দিন হচ্ছে আরাফার দিন। আরাফার দিন কবে হবে সেটি অনেকে জানতে চায় কারণ এই দিনে একটি বিশেষ রোজা রাখার আমল রয়েছে।

আরাফার দিনে মূলত হাজিরা আরাফার ময়দানে হাজির হন। তার জন্য আরাফার দিন কবে হবে সেটি মূলত ক্যালেন্ডার দেখে বের করা হয় না। হজের সময় অনুযায়ী যেই দিন হাজিরা আরাফার ময়দানে উপস্থিত হবেন সেটি আরাফার দিন বলে গণ্য হবে। আরাফার দিন কবে হবে সেটি আপনারা খবরে হাজীদের আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়া দেখেও নির্ধারণ করতে পারেন। আরাফার দিনে একটি রোজা বা সিয়াম পালন করলেই হবে।

আবার অনেকে মনে করেন জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা না রেখে শুধু আরাফার দিনে রোজা রাখলে হবে না। বিষয়টা এরকম নয়। আপনি অন্য দিন রোজা না রেখেও আরাফার দিন রোজা রাখতে পারেন।

আরাফার দিন কবে হবে এবং সেই দিনের ফজিলত কি সম্পর্কে আপনাদেরকে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই ফজিলতপূর্ণ সময়ে আপনারা আরও বেশি আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হতে পারবেন।

জিলহজ্ব মাসের রোজা সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।