কোরবানির পশু কেনার নিয়ম
- আপডেট সময় : ০৫:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
আর কিছুদিন পরে মুসলমানদের সবচাইতে ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ। তাই আমার কাছে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন কোরবানির পশু কিনার নিয়ম গুলো কি কি। আমাদের বাংলাদেশে ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানি দেওয়ার জন্য সবচাইতে বেশি কেনা হয় গরু। তাই কোরবানির পশু বা গরু কেনার নিয়মগুলি আমি আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
কোরবানির ঈদ মুসলমানদের জন্য খুবই ঐতিহ্যমন্ডিত। সেই সাথে এটি একটি বিশেষ ইবাদত। যুগ যুগ ধরে মুসলমানরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কোরবানি দিয়ে আসছে।
কোরবানির সাথে জড়িয়ে আছে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর সেই পরীক্ষার স্মৃতি। উনার আত্মত্যাগ আল্লাহর কাছে এতটাই প্রিয় যে সেই ধারা অনুযায়ী আমরা এখন পর্যন্ত কোরবানি দিয়ে থাকি। চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেই কোরবানির পশু কেনার নিয়মগুলি।
কোরবানির জন্য আপনি যে পশুটি কিনবেন সেটি অবশ্যই শারীরিকভাবে স্বাভাবিক এবং সুস্থ হতে হবে।
মুসলমানদের কোরবানি দেওয়ার জন্য কয়েকটি পশু নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এসকল পশুর বাইরে অন্য কোন পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই।
কোরবানির পশু হিসেবে ছাগল, ভেড়া অথবা দুম্বা দিতে চাইলে সেগুলোর বয়স কমপক্ষে ১ বছর হতে হবে। গুরু ও মহিশ হলে সেটির বয়স অন্তত ২ বছর এবং উট হলে সেটির বয়স অন্তত ৫ বছর হতে হবে। তবে ভেড়া কিংবা দুম্বা যদি অধিক স্বাস্থ্যবান হয় তাহলে বয়স কিছুটা কম হলেও সমস্যা নেই সেটা কোরবানির জায়েজ হয়ে যাবে।
কোরবানির পশু কেনার নিয়ম
কোরবানির পশু কেনার নিয়মের ভিতরে অন্যতম হচ্ছে পশু দুর্বল হওয়া যাবে না। অনেক গরু কিংবা মহিষ আছে যেগুলো দিয়ে অনেক পরিশ্রম করানো হয়। যার ফলে তারা শারীরিকভাবে অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েছে এবং হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে।
কোন পশুর পা যদি ভেঙে থাকে এবং সেই ভাঙ্গা পা দিয়ে পশু চলাফেরা করতে পারে না বা তার উপর ভর দিতে পারে না তাহলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি হবে না।
যদি কোন পশুর লেজ কাটা থাকে এবং সেটি অর্ধেক বা তার বেশি হয় তাহলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে না। আর যদি পশুর লেজের অর্ধেকের কম অংশ কাটা থাকে তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি করা যাবে। (তিরমিজি: ১/২৭৫)
বিভিন্ন সংবাদ অনুযায়ী এবছর মানুষের চাহিদার চাইতে অনেক বেশি গরু উৎপাদিত হয়েছে। তবে বৈশ্বিক কারণে গরুর খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর দামও এবার বেশ চড়ক থাকতে পারে। অবশ্য খামারীরা তাদের লাভ নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছে।
আশা করি আপনারা কোরবানির পশু কেনার নিয়মগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে গিয়েছেন। ঈদ ঘনিয়ে আসার পর তাড়াহুড়ো না করে যথা সম্ভব আগেই কোরবানির পশু কিনে রাখুন। গরু বা পশু কিছুদিন নিজের কাছে রাখলে সেটির প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। আর ভালোবাসার পশু কোরবানির দেওয়ায় কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নামাজ কবুলের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে শুদ্ধ ভাবে অজু করা। শুদ্ধভাবে অজু করার নিয়ম গুলি এখনও জানেন না তারা এখানে প্রবেশ করে জেনে নিতে পারেন।