ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে

ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনেকেই জানতে চেয়েছেন ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে কিনা। যাকাত কিংবা কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে। তবে যাকাতের জন্য সেই সম্পত্তি পুরো এক বছর যাবত থাকা জরুরী। কিন্তু কোরবানির ক্ষেত্রে সম্পদ এক বছর ধরে থাকতে হবে এরকম কোন শর্ত নেই। যেহেতু কোরবানি বা ঈদুল আযহা যুল হজ্জ মাসের ১০ তারিখ থেকে 12 তারিখ পর্যন্ত থাকে তাই এ সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। এক বছর অতিক্রম হয়েছে কিনা সেটি অত্যাবশ্যক নয়।

আর যদি এরকম হয়, পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েও কোন ব্যক্তি কোরবানির সময়গুলোতে ঋণগ্রস্ত। তার ঋণ গুলো শোধ করার পর যদি তার কাছে অতিরিক্ত সম্পদ বাকি না থাকে তাহলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। এই বক্তব্য থেকে একটি কথা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে না।

তবে সকল ঋণ শোধ করে দেওয়ার পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ যদি বাকি থাকে তাহলে তার উপরে কোরবানির জায়েজ হবে। অর্থাৎ ঋণ থাকলেও কোরবানি করা যাবে কিন্তু আগে ঋণ শোধ করতে হবে এবং ঋণ শোধ করার পরে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তার কাছে অবশিষ্ট থাকতে হবে।

ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে?

এখন আপনাদের মনে হয়তো বা প্রশ্ন নেসাব পরিমাণ বা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বলতে কি বুঝায়। সহজ ভাষায় আপনার কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের যে কোন সম্পদ থাকে তাহলে সেটিকে নেসাব পরিমাণ সম্পদ বলা হয়।

এই পরিমাণ সম্পদ যদি আপনার কাছে এক বছর ধরে জমা থাকে তাহলে আপনার উপরে যাকাত ফরজ। সেই সাথে কোরবানির দিনগুলোতে যদি এই পরিমাণ সম্পদ আপনার কাছে অবশিষ্ট থাকে তাহলে আপনার উপরে কোরবানি ওয়াজিব। শুধু তাই নয় ঘরের অতিরিক্ত ফার্নিচার কিংবা অন্যান্য নগদ অর্থসহ সকল সম্পত্তি এর অন্তর্ভুক্ত।

ঋণ থাকলে কোরবানি হবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর তো জানলেন। শেষে তো চলুন জেনে নেই কোরবানির সম্পর্কে আরো কিছু বিষয়। কোরবানি জায়েজ হওয়ার আরেকটি অন্যতম শর্ত হলো নিয়ত। কোরবানির জন্য আপনাকে অবশ্যই মন থেকে নিয়ত করতে হবে। নিয়ত যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে কোরবানি কবুল হবার সম্ভাবনা নেই। সেই সাথে অবৈধ বা হারাম টাকা দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।

তাই ঋণ থাকলে কোরবানি হবে কিনা সেটি ভাবার পাশাপাশি কোরবানির নিয়ত সম্পর্কেও আপনাকে বিশুদ্ধ ধারণা রাখতে হবে।
ডিপ্লোমা কোর্সের ভর্তি সম্পর্কে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে?

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

অনেকেই জানতে চেয়েছেন ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে কিনা। যাকাত কিংবা কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে। তবে যাকাতের জন্য সেই সম্পত্তি পুরো এক বছর যাবত থাকা জরুরী। কিন্তু কোরবানির ক্ষেত্রে সম্পদ এক বছর ধরে থাকতে হবে এরকম কোন শর্ত নেই। যেহেতু কোরবানি বা ঈদুল আযহা যুল হজ্জ মাসের ১০ তারিখ থেকে 12 তারিখ পর্যন্ত থাকে তাই এ সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। এক বছর অতিক্রম হয়েছে কিনা সেটি অত্যাবশ্যক নয়।

আর যদি এরকম হয়, পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েও কোন ব্যক্তি কোরবানির সময়গুলোতে ঋণগ্রস্ত। তার ঋণ গুলো শোধ করার পর যদি তার কাছে অতিরিক্ত সম্পদ বাকি না থাকে তাহলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। এই বক্তব্য থেকে একটি কথা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে না।

তবে সকল ঋণ শোধ করে দেওয়ার পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ যদি বাকি থাকে তাহলে তার উপরে কোরবানির জায়েজ হবে। অর্থাৎ ঋণ থাকলেও কোরবানি করা যাবে কিন্তু আগে ঋণ শোধ করতে হবে এবং ঋণ শোধ করার পরে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তার কাছে অবশিষ্ট থাকতে হবে।

ঋণ থাকলে কোরবানি করা যাবে?

এখন আপনাদের মনে হয়তো বা প্রশ্ন নেসাব পরিমাণ বা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বলতে কি বুঝায়। সহজ ভাষায় আপনার কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের যে কোন সম্পদ থাকে তাহলে সেটিকে নেসাব পরিমাণ সম্পদ বলা হয়।

এই পরিমাণ সম্পদ যদি আপনার কাছে এক বছর ধরে জমা থাকে তাহলে আপনার উপরে যাকাত ফরজ। সেই সাথে কোরবানির দিনগুলোতে যদি এই পরিমাণ সম্পদ আপনার কাছে অবশিষ্ট থাকে তাহলে আপনার উপরে কোরবানি ওয়াজিব। শুধু তাই নয় ঘরের অতিরিক্ত ফার্নিচার কিংবা অন্যান্য নগদ অর্থসহ সকল সম্পত্তি এর অন্তর্ভুক্ত।

ঋণ থাকলে কোরবানি হবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর তো জানলেন। শেষে তো চলুন জেনে নেই কোরবানির সম্পর্কে আরো কিছু বিষয়। কোরবানি জায়েজ হওয়ার আরেকটি অন্যতম শর্ত হলো নিয়ত। কোরবানির জন্য আপনাকে অবশ্যই মন থেকে নিয়ত করতে হবে। নিয়ত যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে কোরবানি কবুল হবার সম্ভাবনা নেই। সেই সাথে অবৈধ বা হারাম টাকা দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।

তাই ঋণ থাকলে কোরবানি হবে কিনা সেটি ভাবার পাশাপাশি কোরবানির নিয়ত সম্পর্কেও আপনাকে বিশুদ্ধ ধারণা রাখতে হবে।
ডিপ্লোমা কোর্সের ভর্তি সম্পর্কে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।