৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে যে ২ বিষয়ে আবেদন কম পড়েছে
- আপডেট সময় : ০১:০৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
প্রায় ৯৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। পঞ্চম এই গণবিজ্ঞপ্তি টি বেশ কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়। এতে আবেদন করে প্রায় ২৩ হাজারের বেশি চাকুরী প্রত্যাশী। গতকাল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদেরকে এই তথ্য জানান।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ এর এক উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তা বলেন, ১৬ ও ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণরাই ৫ম শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। সেজন্য তুলনামূলকভাবে আবেদনের সংখ্যা অনেক কম। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ২ টি বিষয়ে সবচাইতে কম আবেদন করেছে। তার মধ্যে একটি হলো ভৌত বিজ্ঞান এবং অপরটি হলো ইংরেজি।
এদিকে এনটিআরসিএ বা বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আসন্ন ঈদুল আযহার আগেই তারা শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করতে চায়। এজন্য নিয়োগের সাথে সম্পৃক্ত সকল শাখাকে সেভাবেই দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ইতিমধ্য ইন্ডেক্সধারীরা শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করায় সুপারিশের কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে যে ২ বিষয়ে আবেদন কম পড়েছে
এব্যাপারে এনটিআরসিএ এর সচিব ওবায়দুর রহমান সাংবাদিকদের কে বলেন, সুপারিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। যারা ইতিমধ্য শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত আছেন তাদেরকে বাদ দেওয়ার জন্য অনেক যাচাই বাছাই চলছে। এটি শেষ হওয়া মাত্রই সুপারিশপত্র প্রকাশ করা হবে। আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল বা সুপারিশপত্র করা হবে বলে তিনি জানান।
গত ৩১ শে মার্চ ২০২৪ তারিখের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ৯৬ হাজার ৭৩৬ টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজগুলোতে পদের সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬ টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান গুলোতে মোট পদ সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪৫০ টি। গত এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ থেকে প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। যেটি শেষ হয়েছে চলতি মাসের ৯ তারিখে।
এনটিআরসিএ বা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। মূলত বেসরকারি এবং এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের কাজ করে এনটিআরসিএ। আগ্রহী প্রার্থীদের প্রথমে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে পছন্দের স্কুল এবং কলেজগুলোতে তারা আবেদন করার সুযোগ পায়।
আবেদনকারীদের নম্বর এবং ফলাফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে তাদেরকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রদান করা হয়।