১ ক্লিকেই ৩০০ কোটি টাকা হাওয়া মাত্র ১২ সেকেন্ডে
- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
আগেকার দিনে মানুষ কষ্ট করে ব্যাংক লুট করত। চুরি করত। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আর কষ্ট করে ব্যাংকে কিংবা কারো বাসায় গিয়ে চুরি করতে হয় না। ঘরে বসেই হাতিয়ে নেওয়া যায় শত শত কোটি টাকা। আমেরিকার বিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটি থেকে ২ ভাই পড়াশোনা শেষ করেছে। সেই পড়াশোনা কে কাজে লাগিয়ে মাত্র ১২ সেকেন্ডে হাতিয়ে নিয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
বিশ্বাস হচ্ছে না? এমন এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অপরাধী ২ ভাইয়ের একজন হলেন আন্তন পেরেইর এবং অপরজন হলেন জেমস পেরেইর-বুয়েনো। একজনের বয়স ২৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ২৮ বছর। টাকা চুরির অপরাধে ইতিমধ্যে ২ ভাইকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ। তাদের এই চুরির কৌশল এবং ঘটনাকে রীতিমতো উপন্যাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন বলেছেন, অভিযুক্ত ওই ২ ভাইদের বিরুদ্ধে ক্রিপ্ট কারেন্সির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার চুরির অভিযোগ রয়েছে। যা আমাদের বাংলাদেশী টাকায় ৩০০ কোটি টাকার সমান।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম হতে জানা যায়, ২ ভাই পৃথিবীর বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটি থেকে পড়াশোনা করেছেন। তারা একাজে খুবই দক্ষ। সেই পড়াশোনা কেই কাজে লাগিয়ে বিগত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা চুরি করেছিলেন।
১ ক্লিকেই ৩০০ কোটি টাকা হাওয়া মাত্র ১২ সেকেন্ডে
ওই ২ ভাই মূলত একটি সফটওয়্যারের দুর্বল অংশকে কাজে লাগিয়ে লেনদেনের হিসাবগুলো পরিবর্তন করেন। তারপর থেকে এই মাত্র ১২ সেকেন্ডে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন ওই ২ হ্যাকার।
কর্তৃপক্ষের দাবি, টাকা চুরি করার পর আন্তন ও জেমস কে সেটি ফেরত দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তারা টাকা ফেরত না দিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে লুকানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এসকল ব্যাপার নিয়ে সাধারণ জনগণ বলেন, টাকা পয়সা আমরা ব্যাংক রাখি নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু হ্যাকাররা যদি সহজে সেগুলো নিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই ব্যাংকে নিরাপত্তার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের মত আরও অসংখ্য গ্রাহকের টাকা মোবাইলের সফটওয়্যার হতে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রিয় বন্ধুরা, এরকম হ্যাকিং এর ঘটনা আমরা সিনেমাতে অনেক দেখেছি। কিন্তু বাস্তবেও যে সেটি সম্ভব এই নিউজটি না দেখলে বিশ্বাসই করা যেত না। এজন্যই হয়তো গুণেজন বলেন দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ওই হ্যাকার ২ ভাই যথেষ্ট মেধাবী তাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু এতে করে যদি জনসাধারণের উপকারের চাইতে ক্ষতি বেশি হয়ত হয় তাহলে এরকম মেধার দরকার কি।