ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের সম্পর্কে জানত তারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে জানা গিয়েছে গত ৫ জুলাইয়ের নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৫০ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী জড়িত। এরমধ্যে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবান দিয়ে দিয়েছেন মাত্র ৬ জন।

পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার করা হয় ১৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে। তারা সবাই পিএসসি বা বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে চাকরি করেন। এদের মধ্যে ৫ জন এখনো চাকরিতে কর্মরত।

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যেও পাঁচজনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এদের মধ্যেও ৩ জনের ক্ষেত্রে পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা মিলেছিল। যার কারণে এদেরকে পরবর্তীতে আর কোন প্রমোশন দেওয়া হয়নি। আর একজনকে ঢাকা থেকে বদলি করা হয়েছিলো সিলেটে। আবার আরেকজনকে বরখাস্ত করার পর বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করে দায়িত্ব ফিরে পান।

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের সম্পর্কে জানত তারা

এই ৬ জনের মধ্যে পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন সৈয়দ আবেদ আলী। সেই সাথে বরখাস্ত হয়েছিলেন খলিলুর রহমান। আর বদলি করা হয়েছিল জাহাঙ্গীর আলমকে। আবু জাফরকে পরবর্তীতে আর কোন প্রমোশন দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় যাদের নাম এসেছে তারা এর আগেও বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। সেগুলো বের হয়ে এসেছে নিজস্ব অনুসন্ধানে। আমার মনে হয় এই প্রতিষ্ঠানটির ভেতরেই প্রশ্ন ফাঁসের একটি মারাত্মক চক্র রয়েছে। এদের মধ্যেও কেউ কেউ ধরা পড়ছেন আর কেউ কেউ আড়ালে রয়ে যাচ্ছেন। কারণ প্রশ্ন এসেছে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পিএসসি কোন ফৌজদারি মামলা করেনি।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা এবং সমালোচনা হচ্ছে। তার মধ্যে সবচাইতে বেশি ভাড়া হয়েছেন ড্রাইভার আবেদ আলী। জিনি কিনা একজন সাধারণ ড্রাইভার হয়েও আয় করেছেন শত শত কোটি টাকা। নিজের স্ত্রীর নামে করেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

অভিযোগ আনার পর তার এক সাক্ষাৎকার এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের টাকা তিনি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেছেন। এত বড় অপরাধ করার পরেও তিনি বাহিরে পাঞ্জাবি এবং টুপি পড়ে নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন। তার এর বাইরের লেবাস সম্পর্কে মানুষ নানা রকম মন্তব্য করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের সম্পর্কে জানত তারা

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে জানা গিয়েছে গত ৫ জুলাইয়ের নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৫০ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী জড়িত। এরমধ্যে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবান দিয়ে দিয়েছেন মাত্র ৬ জন।

পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার করা হয় ১৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে। তারা সবাই পিএসসি বা বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে চাকরি করেন। এদের মধ্যে ৫ জন এখনো চাকরিতে কর্মরত।

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যেও পাঁচজনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এদের মধ্যেও ৩ জনের ক্ষেত্রে পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা মিলেছিল। যার কারণে এদেরকে পরবর্তীতে আর কোন প্রমোশন দেওয়া হয়নি। আর একজনকে ঢাকা থেকে বদলি করা হয়েছিলো সিলেটে। আবার আরেকজনকে বরখাস্ত করার পর বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করে দায়িত্ব ফিরে পান।

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের সম্পর্কে জানত তারা

এই ৬ জনের মধ্যে পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন সৈয়দ আবেদ আলী। সেই সাথে বরখাস্ত হয়েছিলেন খলিলুর রহমান। আর বদলি করা হয়েছিল জাহাঙ্গীর আলমকে। আবু জাফরকে পরবর্তীতে আর কোন প্রমোশন দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় যাদের নাম এসেছে তারা এর আগেও বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। সেগুলো বের হয়ে এসেছে নিজস্ব অনুসন্ধানে। আমার মনে হয় এই প্রতিষ্ঠানটির ভেতরেই প্রশ্ন ফাঁসের একটি মারাত্মক চক্র রয়েছে। এদের মধ্যেও কেউ কেউ ধরা পড়ছেন আর কেউ কেউ আড়ালে রয়ে যাচ্ছেন। কারণ প্রশ্ন এসেছে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পিএসসি কোন ফৌজদারি মামলা করেনি।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা এবং সমালোচনা হচ্ছে। তার মধ্যে সবচাইতে বেশি ভাড়া হয়েছেন ড্রাইভার আবেদ আলী। জিনি কিনা একজন সাধারণ ড্রাইভার হয়েও আয় করেছেন শত শত কোটি টাকা। নিজের স্ত্রীর নামে করেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

অভিযোগ আনার পর তার এক সাক্ষাৎকার এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের টাকা তিনি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেছেন। এত বড় অপরাধ করার পরেও তিনি বাহিরে পাঞ্জাবি এবং টুপি পড়ে নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন। তার এর বাইরের লেবাস সম্পর্কে মানুষ নানা রকম মন্তব্য করছে।